অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলের মধ্যেই মাদক খাইয়ে একাধিকবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, বোন পড়াশোনায় ভালো বলে কেবল ঈর্ষার জেরেই এই কাজ ঘটিয়েছে তার ওই চার চাচাতো ভাই। এই জঘন্য কাজে অভিযুক্ত ছাত্রদের বাধা না দিয়ে এক শিক্ষকও জড়িত বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিশোরীকে ধর্ষণও করেছেন ওই শিক্ষক।
নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মাহোলি এলাকার সীতাপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, ১৬ বছরের ওই ছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করার সময় অভিযুক্তদের সঙ্গে একদল ছাত্র সেই দৃশ্য ভিডিও করে রাখত। তাদের মধ্যেই একজন শুক্রবার সেই ভিডিও মেয়েটির পরিবারের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করে দেয়। তার পরই প্রকাশ্যে আসে ঘটনাটি।
শনিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা-মা। এখনো এ ঘটনায় অবশ্য কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মাহোলি থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওই মেয়েকে মাদক খাইয়ে অচেতন করে চারজন তাকে ধর্ষণ করত আর তারা নাবালক ছাত্র। এক শিক্ষকও ছিল তাদের সঙ্গে। প্রত্যেক বারই এই ঘটনার পরে কিশোরীর জ্ঞান ফিরে এলে তাকে বলা হত, সে মাঠে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ায় তাকে স্টাফ রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে পোস্ট করা ভিডিও ক্লিপ দেখার পর সে পুরো ঘটনা বুঝতে পারে।
এক দিন বা দু’দিন নয়। গত দু’বছর ধরে সীতাপুরের মাহোলির সরকারি স্কুলে এভাবেই তাকে বারবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মেয়েটি। সে এবং তার অভিযুক্ত ভাইয়েরা সবাই যৌথ পরিবারেই থাকে।
পুলিশের অনুমান, ক্লাসে প্রথম হওয়া কিশোরীর প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে জব্দ করতেই চাচাতো ভাইয়েরা দিনের পর দিন এই অপরাধ করে এসেছে। জানা গেছে, তারা টিফিনের সময় বোনকে বলত একসঙ্গে খাওয়ার জন্য। সেই সময়ই বোনের খাবারে তারা মাদক মিশিয়ে দিত।
পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। রিপোর্ট মেলেনি এখনো। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।